সেভাবে ঠান্ডা না পড়লেও অনুভব করা যাচ্ছে শীত আসছে।
দিনের বেলা সূর্য উঠলে গরম অনুভূত হয়। তবে সূর্যাস্তের পর তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। গভীর রাতে বা ভোরে উত্তর বাতাসের উপস্থিতিও মহানগরে সুপরিচিত। আবহাওয়াবিদদের মতে, কলকাতায় শীত নেই। তবে তার আগমন ভালোই বোঝা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, এখন শীত পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বুধ এই সপ্তাহে ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করবে। এরপর শীত নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 16.9 ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে 2 ডিগ্রি কম। তবে কলকাতার উপকণ্ঠে দমদম এবং সল্টলেকের তাপমাত্রা কিছুটা কম ছিল। দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 19.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সল্টলেকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 20 ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তবে মহানগরের সীমানা পেরিয়ে তাপমাত্রা কমছে। কলকাতার কাছে ব্যারাকপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।
khabor24ghontaপ্রসঙ্গত, বিভিন্ন আবহাওয়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইঙ্গিত দিয়েছে যে লা নিনা পরিস্থিতির কারণে এই বছরের শুরুতে উত্তর ভারতে শীত দেখা দিতে পারে। তার প্রমাণও মিলেছে কিছুটা। অক্টোবরের শেষের দিকে উত্তর ভারতের পাহাড়ে প্রবল তুষারপাত হয়।
[ আরও পড়ুনঃ
INVESTMENT : 10 লাখ থেকে 1 কোটি টাকা মাত্র 10 বছরে! এই ফান্ডগুলি চমকে দিচ্ছে বিনিয়োগের রিটার্ন ]
সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। অনেক আবহাওয়াবিদদের অভিমত উত্তরের বাতাস বয়ে আসছে ঠান্ডা। উত্তর ভারতে শৈত্যপ্রবাহ এবং কলকাতা সহ গাঙ্গেয় বাংলায় শীতের সূচনা হবে কিনা তা নিয়েও জল্পনা চলছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে ইতিমধ্যে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বীরভূমে রাতের তাপমাত্রা 15-16 ডিগ্রির কাছাকাছি।
কিন্তু শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার জন্য বিপদের বার্তা। বর্ষার পর মহানগরীতে বায়ু দূষণের হার বাড়ছে। পরিবেশবিদদের মতে, শুষ্ক বাতাস ধুলোকে জলহীন করে তোলে। ফলে এরা সহজেই বাতাসে ভাসতে পারে। তার উপরে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমলে ধুলোবালি মিশে কুয়াশার সৃষ্টি হয়। ফলে পরিবেশবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা আবহাওয়া উপভোগ করার পাশাপাশি তারা এই দূষণ সম্পর্কেও সচেতন।
0 Comments