আবারও অস্বস্তিতে বিজেপি! পুরভোটের প্রার্থী নির্বাচনে সাবধানতা অবলম্বন করছে গেরুয়া শিবির।

khabor24ghonta

 

পুরভোটের প্রার্থী নির্বাচনে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করছে বিজেপি! জেনে নিন বিস্তারিত।

বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নিয়ে পুর নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে সাবধানি গেরুয়া শিবির

উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করছে বিজেপি। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, নতুন পুরনো মিশে তালিকা তৈরি করা হবে। নতুন প্রজন্মের অস্তিত্ব অব্যাহত থাকায় অভিজ্ঞ সিনিয়র নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে যারা উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক তাদের কাছ থেকে সরাসরি বায়োডাটা সংগ্রহ করছে বিজেপি নেতৃত্ব। মুরলীধর সেন লেনে দলের রাজ্য অফিসে একটি ড্রপবক্স স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে বায়োডাটা সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

[ আরও পডুন ঃ 

এবার অনুপম হাজরা তীব্র কটাক্ষ করলেন বাবুল সুপ্রিয়কে!"বললেন বাংলার ছেলেটিকে মাঠের বাইরে বসিয়ে রাখা হলো কেনো"? ]

প্রার্থী নির্বাচনে সাবধানী গেরুয়া শিবির

লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বিজেপি রাজ্য অফিসগুলিতে এই ধরনের ড্রপবক্স স্থাপন করে আবেদন গ্রহণ করেছিল, এবার হাওড়া এবং কলকাতায়। সচিত্র পরিচয়পত্র সহ বায়োডাটা জমা দেওয়া হচ্ছে। গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যেই হাওড়া ও কলকাতা নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। কলকাতার জন্য একটি বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

[ আরও পডুন ঃ

এই মূহুর্তের সবথেকে বড়ো খবর: -বিধানসভায় বড়োসড়ো ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী! কী ঘোষণা করলেন তিনি? জেনে নিন বিস্তারিত। ]

একটি কমিটি কল্যাণ চৌবে এবং অন্য দুই আহ্বায়ক হলেন তুষার কান্তি ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ এবং প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়াল। হাওড়া কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ডক্টর রথীন চক্রবর্তীকে। এক নেতা জানিয়েছেন, নির্বাচনী এলাকা ও জেলা কমিটি থেকে প্রার্থীদের তালিকা রাজ্যে জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্টেট ডিপার্টমেন্টের ড্রপবক্স রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যারা প্রার্থী হতে চান তারাও তাদের বায়োডাটা জমা দিতে পারবেন। রাজ্যের সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "ড্রপবক্সে প্রচুর আবেদন গৃহীত হয়েছে, তবে প্রাপ্ত আবেদনের সংখ্যা এখনও গণনা করা হয়নি।"

[ আরও পডুন ঃ

এই মূহুর্তের সবথেকে বড়ো খবর: -বিধানসভায় বড়োসড়ো ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী! কী ঘোষণা করলেন তিনি? জেনে নিন বিস্তারিত। ]

এদিকে আরেক নেতা জানান, গত বিধানসভার জন্য যেভাবে আবেদন জমা পড়েছিল সেভাবে এই পৌরসভায় আবেদন জমা হলেও তেমনটি হয়নি। বিজেপি ইতিমধ্যেই নতুন-পুরনো দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল ছেড়ে আসা দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে দলের অভ্যন্তরে যথেষ্ট প্রতিবাদ হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে পদ্ম ফুলের জন্য তৃণমূল থেকে অনেকেই ছুটছিলেন।

[ আরও পডুন ঃ

আক্রান্ত হলেন শুভশ্রীর বাবা ওরফে রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুর! তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্ধের কারণে এমনটা ঘটেছে বলে সূত্রের খবর। ]

 কিন্তু এখন উল্টোটা হয়েছে। ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তাই তারা সতর্কতার সঙ্গে প্রাক-নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া দলের যুব ও মহিলা মোর্চা থেকেও অনেক প্রার্থী মাঠে নামবেন। এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে এমন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।