পাচারকারী চক্র বাজ লেলিয়ে ছোট পাখি ধরছে ! নাস্তানাবুদ পাকিস্তানের বন দফতর
পাখি নিয়ে পাখি শিকার! জালে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই পাকিস্তানে এই প্রথা চালু রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাচারকারীরা পরিপক্ক পালকিসহ ছোট পাখি ধরে ফেলে।
আরবে বাজপাখির প্রজনন খুবই পরিচিত। সম্প্রতি, এটি আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানেও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব দেশে পাচারকারীরা বাড়িতে বাড়িতে বাজপাখি শিকার করে।
khabor24ghonta |
অনেকে আবার বাজার থেকে বড় বাজপাখিও কিনে আনেন বাড়িতে। বেশ কিছু দিন তার চোখ বেঁধে রেখে দেন। তারপর ধীরে ধীরে তাকেও প্রশিক্ষিত করে তোলেন।
এই সমস্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাজপাখিদের শিকারিরা মূলত কোনও ফসলের খেতে নিয়ে যান। কারণ ফসলের খেতে নানা ধরনের পাখির আনাগোনা লেগেই থাকে।
পাচারকারীরা যে পাখিটিকে ধরতে চান, তার কিছুটা কাছে গিয়েই বাজপাখিটিকে উড়িয়ে দেন। প্রশিক্ষিত বাজও শিকারির ইশারা বুঝে ওই পাখিটিকে ধাওয়া করে ধরে নেয়। কিন্তু কোনওভাবেই পাখিটির গায়ে তেমন আঘাত লাগতে দেয় না বাজ
এর পর শিকারি বাজের নাগাল থেকে পাখিটিকে ছাড়িয়ে খাঁচায় বন্দি করেন পাচারকারীরা। এই পাখিগুলির কেন শিকার করা হয়?
অনেকে মনে করতে পারেন, ফসল খেয়ে খেতের ক্ষতি করে পাখিগুলি। সে কারণেই সেগুলিকে বাজ দিয়ে ধরে নেন তাঁরা।
এই পাখিগুলি ধরে বিক্রি করে দেন শিকারিরা। ফসলের খেতে যেহেতু পাখিদের আনাগোনা বেশি থাকে, সে কারণেই পাখি ধরার জন্য ফসলের খেতকেই বেছে নেন তাঁরা। এমন চোরাশিকার রুখতে নাস্তানাবুদ পাকিস্তানের বনদফতর।
নেটমাধ্যমে বাজ দিয়ে পাখি শিকারের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই পাখি শিকারের এই পদ্ধতির তুমুল সমালোচিতও হয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে চর্চা হলেও বাজ পাখিকে এই ধরনের কাজে লাগানো আরব, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানে আগেও হয়েছে।
0 Comments