বকেয়া বিল, বেনারসের হোটেলে প্রিয়াঙ্কার বোনের ১৫০ কর্মী গ্রেফতার!
প্রযোজকের কাছে টাকা নেই, হিন্দি ছবি 'গুড্ডু কি গার্লফ্রেন্ড' ছবির শুটিং করতে গিয়ে দেড়শো সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষের হাতে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সৎ বোন মীরা চোপড়া এবং অভিনেতা তনুজ অগ্নিহোত্রী হোটেলে অল্প সময়ের জন্য আটক থেকে রক্ষা পেয়েছেন। বেনারসের একটি হোটেলে তাদের সহ-অভিনেতা ফ্রেডি দারুওয়ালার হিন্দি ছবি 'গুড্ডু কি গার্লফ্রেন্ড'-এর 150 জন কাস্ট এবং ক্রু সদস্যকে আটক করা হয়েছে। প্রযোজকের টাকা চলে গেছে, তাই ক্রুদের হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে।
[ আরও পড়ুন ঃ
Sreelekha Mitra dance on Manike Mage Hithe 'মানিকে মাগে হিতে'-র ফিউশনে শ্রীলেখার সে কী নাচ ]
জানা গেছে, এই ছবি জি-এর জন্য তৈরি হচ্ছিল। প্রবীণ অভিনেতা সুকেশ আনন্দও এই ছবির একটি অংশ, তিনিও হোটেলে আটকা পড়েছিলেন। কোনওরকমে অভিনেত্রী নূপুর অলঙ্কারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় অভিনেতার। এরপর নূপুর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে টুইটারে ট্যাগ করে সাহায্য চান। জানা গেছে, নূপুর টুইট করার আগে ছবির কলাকুশলীদের পুলিশকে জানানো হয়নি। অভিনেতা সুকেশ আনন্দ বলেন, "পুরো টিমের আট সদস্য এখনও হোটেলে আটক রয়েছে। এটা মেনে নিতে হবে, কারণ তাদের একটা দায়িত্ব ছিল। দেখুন, প্রযোজকের টাকা শেষ হয়ে গেলে সেটা অভিনেতাদের বা দায় নয়। প্রযুক্তিবিদ
[ আরও পড়ুন ঃ
নরকের জন্য কোন জায়গা হবে না", হাসপাতালের বিছানায় কাঁদতে কাঁদতে অভিশাপ দিলেন কঙ্গনা। ]
ছবির লিড তারকা তনুজ বীরওয়ানি জানান, ‘আমি শুনেছি এই ঘটনা সম্পর্কে, তবে মীরা আর আমি আগেই ফিরে এসেছি, তাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না’। উল্লেখ্য রতি অগ্নিহোত্রীর ছেলে তনুজ।
সূত্র জানায়, গত তিন-চার বছর ধরে ছবিটির শুটিং বন্ধ ছিল। আর হোটেলে বন্দি ছিলেন মীরা-তনুজ। কবে থেকে শুটিং শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দেননি প্রযোজক। তারপর দুজনে হোটেল থেকে চেক আউট করে চলে গেল। তবে দলের বাকিরা বেনারসে ছিল, যেখানে তাদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে হোটেল কর্তৃপক্ষ আটক করেছিল।
[ আরও পড়ুন ঃ
এ বিষয়ে প্রযোজক ইলিয়াস সৈয়দের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ছবিটির পরিচালক রোহিত কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। সম্ভবত প্রযোজক-পরিচালক জুটি টাকা জোগাড় করতে ব্যস্ত! উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে ওড়িশায় অরিন্দম শীলের 'খেলা জাহান' ছবির শুটিং চলাকালীন হোটেল বিল বকেয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। তিন ক্রু সদস্যকে হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রায় দুই দিন আটকে রেখেছিল। প্রযোজক পরে স্পষ্ট করেছেন যে হোটেল কর্তৃপক্ষের 80 শতাংশ বকেয়া মিটিয়েছে। আমার কোম্পানি বিল রিচেকের জন্য 48 ঘন্টা চেয়েছিল। কোনো কারণে তারা শুটিং ইউনিটের লোকজনকে ভুল বুঝে ও বিভ্রান্ত করে। তবে বাকি টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বকেয়া পরিশোধ করেও তাদের কলকাতায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[ আরও পড়ুন ঃ

0 Comments