কোন কোন ওর্য়াডে এগিয়ে বিজেপি? ক্লীন সুইপ তৃণমূলের
উপনির্বাচনের পর উপনির্বাচন করতে আগ্রহী রাজ্য। নবান্নের প্রস্তাবিত দিনেই লিখিত অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে কলকাতা ও হাওড়ায় 19 ডিসেম্বর প্রাক-নির্বাচন হবে বলে মনে হচ্ছে। 22 ডিসেম্বর ভোট গণনা হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
কিন্তু কলকাতা পুরসভা, অর্থাৎ ছোট লাল বাড়িটি কার দখলে থাকবে? কয়টি আসন পেতে চলেছে তৃণমূল-বিজেপি? দাঁত কিড়মিড় করতে পারবে বাম-কংগ্রেস? এই প্রশ্নই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
[ আরও পড়ুনঃ khabor24ghonta
উল্লেখ্য, একুশে নির্বাচনে কলকাতায় একটি বিধানসভা আসনেও জিততে পারেনি বিজেপি। আর সেই বিধানসভা ভোটের আট মাস পরেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি কিছু ফল পাবে, গেরুয়া শিবিরের কোনও নেতাই তা ভাবেন না। তৃণমূল যথেষ্ট নিরাপদে রয়েছে। সর্বশেষ কলকাতা পৌরসভা ভোট হয়েছিল 2015 সালে। তারপর তৃণমূল পায় 114টি আসন, বামেরা 15টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে হাওয়া না থাকলেও, ২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর, বিজেপি ক্ষমতা বাড়িয়ে কলকাতার সাতটি ওয়ার্ডের নিয়ন্ত্রণ লাভ করতে সক্ষম হয়।
[ আরও পড়ুনঃ khabor24ghonta
CPIM : ফের একলা চলো নীতির সিদ্ধান্ত নীতে পারে সিপিএম! কংগ্রেসের সঙ্গে আর জোট নয়,আলোচনা শুরু ]
কিন্তু এবার? একুশের বিধানসভা ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩২-টিতেই এগিয়ে তৃণমূল। কিন্তু ভবানীপুরের দুটি (৭০ ও ৭৪ নং ওয়ার্ড), রাসবিহারীর একটি (৮৭ নং ওয়ার্ড), জোড়াসাঁকোর পাঁচটি (২২, ২৩, ২৫, ২৭, ৪২ নং ওয়ার্ড) শ্যামপুকুরের দুটি (২১ ও ২৪ নং ওয়ার্ড), মানিকতলা (৩১ নং ওয়ার্ড) ও চৌরঙ্গির (৪৫ নং ওয়ার্ড) একটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল তারা। বিজেপি এগিয়ে ছিল মাত্র ১১টিতে। কংগ্রেস একটি আসনে (৪৫ নং ওয়ার্ড)। কিন্তু ভবানীপুর উপনির্বাচনে দেখা যায় সেখানের যে দুটি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়েছিল সেই দুটি ওয়ার্ডেও এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল।
[ আরও পড়ুনঃ khabor24ghonta
BJP Murder :ভগবানপুরে খুন বিজেপি নেতা ধৃত তৃণমূল নেতার 12 দিনের পুলিশ হেফাজত। ]
অর্থাত্, ১৩৪টি ওয়ার্ডে এগিয়ে জোড়াফুল শিবির, ন'টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির, একটিতে এগিয়ে কংগ্রেস। একুশের ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কোনও কেন্দ্রেই এগিয়ে নেই বামেরা। তবে বিধানসভা ভোট হয়েছে অন্য ইস্যুতে, পুরভোট হয় সাধারণত পাড়ায়-পাড়ায় প্রার্থীর মুখ দেখে। স্থানীয় সমস্যাই ইস্যু হয়। সেক্ষেত্রে কটি আসন কোন দল পেতে পারে তা ভোটগণনার দিনেই জানা যাবে। তবে গেরুয়া শিবিরে যে ডামাডোল লেগে আছে, তা থেকে গতবারের জেতা সাতটি আসন (ওয়ার্ড নং ৭, ২২, ২৩, ৪২, ৭০, ৮৬, ৮৭) আদৌ তারা নিজেদের দখলে ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ২০১৫-র থেকে নিঃসন্দেহে রাজ্য তথা কলকাতায় সংগঠন অনেকটাই পোক্ত হয়েছে বিজেপির। সেক্ষেত্রে আসন না বাড়াতে পারলে মুখ পুড়বে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের।
0 Comments