khabor24ghonta
বিয়ের আগেই যৌনতা, এমন রীতি রয়েছে এই দেশে।
খবর২৪ ঘণ্টার আজকের নিবেদনঃ বাইসন হর্নমারিয়ার গোত্র। একেই বলে। বাইসন শিং দিয়ে বিশ্বকে সাজানোর জন্য জাতিকে এমন একটি নাম দেওয়া হয়েছে। বই শিক্ষা এই পাবলিক কাউন্সেলর প্রায় নেটওয়ার্ক না. জীবন খুবই সহজ। সেখানে তথাকথিত 'সভ্য' সমাজের ছাপ নেই। কিন্তু ‘সভ্য’ ‘শিক্ষিত’ সমাজের অনেকের সামনে একটি বিষয়ে তথ্য দিচ্ছে।
সমাজের অনেকেই নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে সোচ্চার। কিন্তু প্রকৃত অর্থে হাতে গোনা কিছু মানুষই পারে নারী-পুরুষকে সমান দাঁড়িপাল্লায় রাখতে। কিন্তু এই গোত্রের সমাজে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। এ সমাজের নারীরা বছরের পর বছর পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে।
[ আরও পড়ুনঃ
khabor24ghonta
ছত্তীসগঢ়ের আদি জনজাতি গোন্ড। তাদেরই এক অংশের নাম ‘বাইসন-হর্ন মারিয়া’। বাইসনের শিঙের ব্যবহার করার জন্য এক সময় ইংরেজরাই নাকি এই নাম দিয়েছিল। এখন অনেকেই বন মহিষের বদলে হরিণ বা অন্য কোনও প্রাণীর শিং ব্যবহার করেন। কিন্তু নাম একই রয়ে গিয়েছে।
[ আরও পড়ুনঃ
ছত্তীসগঢ়ের জগদলপুরেই মূলত এই জনজাতিদের বাস। নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্কের যে সংজ্ঞা এঁরা রচনা করেছেন, তা আজও বিস্মিত করে।
[ আরও পড়ুনঃ
subhashree-yuvaan: অভিনেত্রী শুভশ্রীর পায়ে ফ্রেকচার, মায়ের দেখভাল করছে বীরপুরুষ yuvaan
তাঁদের বিশ্বাস, বিয়ের আগে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠা আবশ্যিক। এর মাধ্যমেই পরবর্তীকালে দাম্পত্যের বন্ধন আরও অটুট হবে, মনে করেন তাঁরা।
khabor24ghontaপুরুষ বা নারী যদি সেই সম্পর্কে খুশি না হয়ে থাকেন তা হলে যে কোনও সময় তাঁরা সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন বিনা বাধায়। একে অপরের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে খুশি হলে তবেই তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। আবার বিয়ের পরও যদি কারও অন্য কোনও নারী বা পুরুষকে ভাল লেগে থাকে, সে ক্ষেত্রেও বিনা বাধায় দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে আসার স্বাধীনতা রয়েছে।
[ আরও পড়ুনঃ
নয়া রেকর্ড গড়ল মিঠাই, এগিয়ে এল সর্বজয়া একেবারে কোণঠাসা হল খড়কূটো ]
এই উপজাতির মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ভালবাসা না থাকলে সেই সম্পর্ক বয়ে নিয়ে চলার কোনও অর্থ নেই। সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য সঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা নারী-পুরুষ উভয়েরই সমান রয়েছে। বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কে কোনও নারীর সন্তান হলে, তাকেও খুব স্বাভাবিক ভাবেই আপন করে নেয় পুরো পরিবার।
কোনও নারীর স্বামীর মৃত্যু হলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাঁর জন্য পাত্র খোঁজেন। ধুমধাম করে বিধবাবিবাহের আয়োজন হয়। এক বিশেষ ধরনের উৎসব রয়েছে তাঁদের। যেখানে ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত অবস্থায় পুরুষ ও মহিলারা উল্লাসে মাতেন। তাঁরা একে অপরকে নানা বিদ্রুপও করেন। কিন্তু তা কখনও মাত্রা ছাড়িয়ে যায় না। এখানে ‘সভ্যতা’র মাপকাঠি একেবারে অন্য। যৌনতার এক স্বাধীনতা এখনও আছে এই জনজাতির মধ্যে।
১৯৩৮ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ আমলা ডাব্লিউভি গ্রিগসনের একটি বইয়ের সূত্র ধরে গোন্ডদের এই অংশের জনজাতিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। গ্রিগসনের লেখা ‘দ্য মারিয়া গোন্ডস অফ বস্তার’ দীর্ঘ দিন ধরে বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালগুলির পাঠ্যক্রমে রয়েছে।। সেই বইকে ধরেই যাচাই করে দেখা গিয়েছে, এখনও সেই সব নিয়ম মেনেই চলে এই জনজাতি।
তবে এই জনজাতির কথা যত ছড়িয়েছে তাঁদের জীবনযাত্রা দেখতে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ক্রমে শহুরে সভ্যতা ও বিদেশি পর্যটকদের ভিড় এই জনজাতির মানুষের মনে অন্য রকম প্রভাব ফেলতে পারে।
0 Comments