মরণোত্তর চক্ষুদান পুনীতের পরিবারিক ঐতিহ্য।
শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পুনীত কুমারের। জীবন শেষ হয়ে গেলেও বিদায়ের সময়ও ছড়িয়েছিল দক্ষিণী নায়কের আলো। তার জন্য চোখের আলো ফিরল চারজনের।
মরণোত্তর চক্ষুদান হল পুনীতের পারিবারিক ঐতিহ্য। তার বাবা সুপারস্টার রাজকুমার 2006 সালে মারা যান। মা পার্বতম্মা 2016 সালে মারা যান। তারা দুজনেই তাদের চক্ষুদান করেছেন । তাই ভাই রাঘবেন্দ্র পুনীতের মৃত্যুর খবর হাসপাতালে জানাতে দেরি করেননি। অভিনেতার চোখের জোড়া সংগ্রহ করতে তিনি চক্ষু ব্যাঙ্কে ডাকলেন।
নারায়ণ নেত্রালয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভুজং শেঠি বলেন, “আমি রাঘবেন্দ্র রাজকুমারের কাছ থেকে ফোন পেয়েছি। ডাক্তার বললেন তাড়াতাড়ি এসে চোখ সংগ্রহ করতে। পুনীতকে নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রম হাসপাতালে। সেখানে প্রচুর মানুষের ভিড়। ফলে রাঘবেন্দ্র কীভাবে সময়মতো পৌঁছাবেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। আমি অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। "
পুনীতের দুই কর্নিয়া চারজনেরই চোখ ফিরিয়েছে। "আমরা কর্নিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করেছি," শেঠি বলেন। যাদের চোখের সামনের অংশে সমস্যা আছে তাদের জন্য সামনের অংশ দেওয়া হয়েছে। পিছনের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা পেছনের অংশ পেয়েছেন। আমি আগে কখনো এটা করিনি। একই দিনে এক ব্যক্তির চোখে আলো ফিরে আসে চার জনের চোখে। পুরো অপারেশনে ৬ ঘণ্টা লেগেছিল। 8 জন কর্নিয়া বিশেষজ্ঞের একটি দল 3টি অপারেটিং থিয়েটার পরিচালনা করেছে।
0 Comments