কয়েকটি সহজ স্টেপ মানলে আপনিও পেতে পারেন গাড়ির স্মার্ট লাইসেন্স! জেনে নিন স্টেপ গুলি।
রাস্তায় বাইক বা গাড়ি চালানো যাই হোক না কেন, আপনার একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন। মূলত এই লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো মানেই অপরাধ। ধরা পড়লে তাকে দিতে হতে পারে মোটা জরিমানা। এই কারণেই সবাই প্রথমে গাড়ি বা বাইক চালানোর লাইসেন্স পায় না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো এটিও পরিবর্তন হতে পারে। পুরনো লাইসেন্সের পাশাপাশি এই ডিজিটাল যুগে সবার জন্য চালু হয়েছে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স।
[ আরও পড়ুন ঃ
স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স - মূলত সাধারন মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই গোটা দেশেই চালু করে দেওয়া হয়েছে এই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স। যেটি ছোট্ট একটি এটিএম কার্ডের মতো। এর ফলে এটা সবসময় সাথে রাখতেও অসুবিধা হবেনা মানুষের। এই লাইসেন্স টি মূলত কাজ করে এর ভেতরে থাকা একটি মাইক্রো চিপের কারনে। যার মধ্যে ব্যক্তির বায়োমেট্রিক থেকে সমস্ত তথ্যই দেওয়া থাকে। যার ফলে কোন সরকারি অধিক সেটিকে স্ক্যান করলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সমস্ত তথ্যের পাশাপাশি সে আগে কোন লাইসেন্স জনিত নিয়ম ভঙ্গ করেছে নাকী সেটাও জানতে পারা যাবে।
[ আরও পড়ুন ঃ
Bajaj Pulsar 250 লঞ্চ হয়েছে: নতুন Bajaj Pulsar 250 এসেছে ]
সাধারন লাইসেন্স থেকে স্মার্ট লাইসেন্স এ পরিবর্তন করার নিয়ম - ইতিমধ্যেই গোটা দেশে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ছোট্ট এই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মধ্যে আঙুলের ছাপ,রেটিনা স্ক্যান ব্ল্যাড গ্রূপ সহ সমস্ত তথ্যই থাকে সেই কারনে সাধারন লাইসেন্সের বদলে অনেকেই স্মার্ট লাইসেন্সের প্রতি ঝোঁক দেখাচ্ছেন। কারন এর অন্যান্য সুবিধার মতো বহন করাও খুবই সহজ। আপনি চাইলে আপনার সাধারন লাইসেন্স টিকে আবেদনের মাধ্যমে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আপনার খরচ হবে মাত্র ২০০ টাকা।
[ আরও পড়ুন ঃ
REDMI NOTE 11T 5G :কেমন হবে REDMI NOTE 11T 5G, জানুন এই ফোন 30 নভেম্বর ভারতে লঞ্চ হবে ]
পদ্ধতি - নিন্মলিখিত এই পদ্ধতিগুলি মেনে চললে আপনি খুব সহজেই আপনার সাধারন ড্রাইভিং লাইসেন্স টিকে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স এ পরিবর্তন করিয়ে নিতে পারবেন।
●প্রথমেই আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে আবেদন পত্র। সেক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্ট ডিপার্মেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানেই দেখতে পাওয়া যাবে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর স্মার্ট কার্ড। এই অপশনটিতে গিয়ে এই সংক্রান্ত আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করে নিন।
●প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি দিয়ে আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
●পূরণ করা আবেদনপত্রটি আপনার এলাকার আরটিও অফিসে গিয়ে পূরণ করা আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে।
●এর পর এই নতুন স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স বাবদ ফি জমা করতে হবে ২০০ টাকা।
[ আরও পড়ুন ঃ
হোয়াটসঅ্যাপে কেউ ব্লক করলে তাঁকে মেসেজ পাঠাবেন কীভাবে? ]
●এর পর আপনাকে ড্রাইভিং টেস্ট দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি দিন বেছে নিতে হবে।
●নির্দিষ্ট দিনে আপনি যদি ড্রাইভিং টেস্ট পাস করেন সেক্ষেত্রে তার পর আপনার রেটিনা স্ক্যান, ফিঙ্গার প্রিন্ট সহ বিভিন্ন তথ্যের বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে।
উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলি সঠিকভাবে পুরন করলে আপনাকে আর কিছু করার প্রয়োজন পড়বে না। সেক্ষেত্রে আরটিও অফিস থেকেই বাদবাকী সমস্ত কাজ সম্পন্ন করবে এবং তারাই যোগাযোগ করে নেবে আপনার সাথে।
[ আরও পড়ুন ঃ
এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস থেকে আজই সুরক্ষিত করুন আপনার মোবাইলটিকে! এখুনি আনইনস্টল করুন এই অ্যাপ দুটি। ]
0 Comments