Header Ads Widget

Responsive Advertisement

এখন সবাই যা পড়ছে

6/recent/ticker-posts

এবার কঙ্গনার মন্তব্য কে তীব্র কটাক্ষ করলেন নেতাজি কন‍্যা অনিতা বস! বললেনএই দুজনকে ছাড়া কখনোই দেশে স্বাধীনতা আসতো না।

এবার কঙ্গনার মন্তব্য কে তীব্র কটাক্ষ করলেন নেতাজি কন‍্যা অনিতা বস! বললেনএই দুজনকে ছাড়া কখনোই দেশে স্বাধীনতা আসতো না।
khabor24ghonta

 

এই প্রসঙ্গে কী বললেন অনিতা বসু? জেনে নিন।

"গান্ধীজী জানতেন তিনি বাবাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না"- বললেন নেতাজির কন্যা অনিতা

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে দুজনের নাম। একজন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, অন্যজন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে দুজনের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সম্প্রতি, বিজেপির ঘনিষ্ঠ সহযোগী কঙ্গনা রানাউত পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার পর বলেছিলেন, "1947 সালের স্বাধীনতা স্বাধীনতা নয়, ভিক্ষা ছিল। প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছিল 2014 সালে। জওহরলাল নেহেরু এবং মহাত্মা গান্ধী সুভাষ চন্দ্রকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।" সুভাষ চন্দ্র বসু এবং মহাত্মা গান্ধীর একজন আদর্শগতভাবে, গান্ধীজি এবং সুভাষ চন্দ্রকে একসাথে অনুসরণ করা কখনই সম্ভব নয়।"

[ আরও পড়ুন ঃ

এবার কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতায় সরব হলেন অভিনেত্রী অর্পণা সেন!বললেন BSF ক্ষমতা বাড়ানো হলে চরম সঙ্কটে পড়বে বাংলা ]

কঙ্গনা রানাওয়াত বলতে চেয়েছেন যে 2014 সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রীর আসনে আসীন হওয়ার পরেই নাকি  আসল স্বাধীনতা এসেছে।  কঙ্গনার এই মন্তব্যে যথেষ্ট ঝড় উঠেছে সারা দেশজুড়ে। এবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ। তিনি জানিয়েছেন, "গান্ধীজী এবং নেতাজি দুজনই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক। একে অপরের সাহায্য ছাড়া কখনই দেশে স্বাধীনতা আসতো না।" 

[ আরও পড়ুন ঃ

একাধিক প‍্যান কার্ড রয়েছে আপনার? সেক্ষেত্রে আপনার 10,000 টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে! ]

কি বলেছেন নেতাজি-কন্যা?

বিজেপি ঘনিষ্ঠ কঙ্গনা রানাওয়াত এর বক্তব্য খারিজ করে এবং কঙ্গনার মন্তব্যকে সম্পূর্ণ একপেশে বলেছেন নেতাজি কন্যা। অনিতা বসু পাফ বলেছেন, "গান্ধীজীর স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিতে বহু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন এবং সেইসাথে নেতাজি কেও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। গান্ধীজী সবসময়ই জানতেন তিনি নেতাজি কে কখনোই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। কিন্তু বাবা ছিলেন নেতাজির পরম ভক্ত। কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা দীর্ঘ সময় ধরে দাবি করছেন যে শুধুমাত্র ভারতের স্বাধীনতা এসেছে অহিংস আন্দোলনের হাত ধরে।

[ আরও পড়ুন ঃ

মন্ত্রীসভার বৈঠকে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী! 1000 টি শূন‍্যপদে পুলিশ নিয়োগের ঘোষণা করলেন তিনি। ]

 কিন্তু ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে নেতাজী এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবলম্বন করেছিল। আমার বাবা সমস্ত ধর্মের মানুষকে নিয়ে দেশপ্রেমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন। বিজেপির মধ্যে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার আদর্শের ঘাটতি আমার বাবার আদর্শের সঙ্গে কখনোই মিলতে পারে না। দেশপ্রেমের প্রকৃষ্ট উদাহরণ ছিলেন আমার বাবা। অহিংস আন্দোলন এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের লড়াই এর ফলেই ভারতের স্বাধীনতা এসেছে সেটা ইতিহাস জানে।"

তবে বহু ভারতীয়রা এটাই জানেন, শুধুমাত্র আবেদন-নিবেদন নীতিতে ভারতের স্বাধীনতা আসেনি , স্বাধীনতা অনেক বীর শহীদদের রক্তের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনতে হয়েছে ব্রিটিশদের হাত থেকে।

Post a Comment

0 Comments