শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বিজেপি ছাড়লেন, টুইট করে নিজেই জানালেন সেই কথা।

                                                             khabor24ghonta

 বিজেপি ছাড়লেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

বিজেপি ছেড়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। টুইট করে তিনি এ ঘোষণা দেন। এবারের নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে পার্থ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী ছিলেন তিনি। ভোটে পরাজিত। এরপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। অবশেষে দল ছাড়লেন এই অভিনেত্রী।

দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শ্রাবন্তী টুইট করেছেন, "বিজেপি বাংলার উন্নয়নের জন্য আন্তরিক নয়। বাংলার জন্য কাজ করার মনোভাবের অভাব তাদের।

[ আরও পড়ুনঃ khabor24ghonta

মূখ‍্যমন্ত্রীর ঘোষণাঃ রাজ‍্যের চাষিদের জন‍্য সুখবর, বাড়লো ধানের সহায়ক মূল‍্য ]

প্রসঙ্গত, গত সোমবার রূপাঞ্জনা মিত্রের মতো মুখ্যমন্ত্রীর বিজয় সমাবেশে আমন্ত্রণ পান শ্রাবন্তী। কিন্তু তিনি হাজির হননি। তাঁর অনুপস্থিতির বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল, তিনি বিজেপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চান না। যদিও এ বিষয়ে শ্রাবন্তী নিজে কোনো মন্তব্য করেননি।

[ আরও পড়ুনঃ khabor24ghonta

 Tmc-bjp : পুলিশের সাহায‍্য ছাড়া Tmc ভোটে জিতবে না দাবি দিলিপ ঘোষের ]

একুশের নীলবাড়ির যুদ্ধের ঠিক আগে ১ মার্চ বিজেপিতে যোগ দেন শ্রাবন্তী। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে বিজেপি তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের পার্থ চ্যাটার্জির কাছে হেরে যান তিনি। এই শেষ নয়। পরাজয়ের পর জোটে তার 'অসম্মান'। কখনো কখনো তাকে বিরোধী দলের সদস্যরা বা নিজ দলের সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

[ আরও পড়ুনঃ khabor24ghonta

TMC : কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনে শূন‍্য এমনই মন্তব্য করলো তৃণমূল ]

ফলাফল ঘোষণার দুদিন পরেই বরখাস্ত হলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন শ্রাবন্তী, তনুশ্রী চক্রবর্তী ও পায়েল সরকারকে টিকিট দেওয়া হল। কিন্তু সেই প্রশ্নে 'অপমান' করার চেষ্টাও অনেকের নজর কেড়েছে। দোল দিবসে একটি অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য তৃণমূল নেতা মদন মিত্রেরও সমালোচনা করেছেন তথাগত। তিনি টুইটারে লিখেছেন, "শহরের অভিনেত্রীরা নির্বাচনের টাকা নষ্ট করছেন এবং নৌকায় মদন মিত্রের সাথে সেলফি তুলছেন (এবং ভূত হারিয়েছেন) কে তাদের টিকিট দিয়েছে?"

[ আরও পড়ুনঃ khabor24ghonta  

রাজ‍্যের মন্ত্রী  ''ওষুধের দোকানের পিছনে দাঁড়িয়ে মদ খায়” ঠিক এরকম মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী সৌমেন মহাপাত্রের উদ্দেশ্যে। ]

পাল্টা প্রমাণ চেয়েছিলেন শ্রাবন্তী। তিনি বলেন, আমরা ভোটের টাকার দিকে ঝুঁকছি। কেলি করেছে। তার কাছে কি এর কোনো প্রমাণ আছে? "

ভোটের পর বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। ইদানীং দলীয় কোনো কর্মসূচিতে তাকে দেখা যাচ্ছে না। এরপর বৃহস্পতিবার দল থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন শ্রাবন্তী।

বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে আরও একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। সেই জল্পনা, পদ্মফুল ছেড়ে শ্রাবন্তীর নতুন গন্তব্য কী? দল থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে দায়ী করে টুইট করেন।