প্রশান্ত কিশোরের মত কে গুরুত্ব না দিয়েই প্রকাশিত হলো তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা!
পিকে'র সুপারিশ খারিজ করে তৃণমূল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলো রাতে
শুক্রবার সারাদিন শিরোনাম হয়েছে সিপিআইএম-এর প্রার্থী তালিকার বিষয়টি। এদিকে গতকাল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TRINAMOOL CONGRESS)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE), ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চ্যাটার্জি, সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, প্রশান্ত কিশোর এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পৌরসভা প্রার্থীদের সাথে দীর্ঘ আলোচনার জন্য বিকেলে কালীঘাটে তাদের বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর রাতেই ১৪২ জনের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রস্তাবিত প্রার্থী তালিকা নিয়ে মতানৈক্য চরম আকার ধারণ করে।
[ আরও পড়ুন ঃ khabor24ghonta
পুরভোটের টিকিট পেলেন মমতা ব্যানাজ্জীর ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়! ]
প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রকাশ্যে মতবিরোধ
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রাক-নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এ দিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি তৃণমূল। তার পরেই শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতে চলেছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। তার আগে শুক্রবার, অর্থাৎ গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বাছাই কমিটির বৈঠক হবে। দুপুর ৩টার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন নেতারা। সুব্রত বক্সারের প্রবেশের আগে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, অভিষেক ব্যানার্জি, মমতা ব্যানার্জি এবং প্রশান্ত কিশোর। বিকেল সাড়ে তিনটায় বৈঠক শুরু হয়।
[ আরও পড়ুন ঃ khabor24ghonta
পুরভোটের প্রার্থী হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভাগ্নি তনিমা চট্টোপাধ্যায়! ]
তবে এবার দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক শেষ হয়েছে। স্বভাবতই অনেকেই কৌতূহলী চোখে তাকিয়ে ছিলেন ভেতরে কী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে! তখন দেখা গেল সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন প্রশান্ত কিশোর (প্রশান্ত কিশোর), তার পরেই পুলিশ মিডিয়াকে জানায় কালীঘাটে মিলন সংঘের মাঠ থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। অস্থায়ী মঞ্চে হাজির হলেন মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ প্রথমে বলেছিলেন যে "আমরা সর্বসম্মতিক্রমে এই তালিকা তৈরি করেছি।" তখন পার্থ বলেন, "তালিকা ছাপানো হচ্ছে। ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করা হবে।"
[ আরও পড়ুন ঃ khabor24ghonta
কিন্তু সোয়া ১০টার পর দেখা গেছে, প্রার্থী তালিকা সম্পূর্ণ হয়নি। 119 নং ওয়ার্ড এবং 36 নং ওয়ার্ডে কোন প্রার্থীর নাম নেই। প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। তাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রথমে যে তালিকার প্রস্তাব করা হয়েছিল তা অন্য নেতারা চ্যালেঞ্জ করেছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এজন্যই কি এত দেরি? যাইহোক, ফিরহাদ হাকিম বলেছেন যে দলে গণতন্ত্র বিদ্যমান এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক বলছেন, ঐকমত্যে পৌঁছাতে আরও ৩ ঘণ্টা সময় লাগে না, তাহলে এবার এত সময় লাগলো কেন? তাই অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন যে প্রস্তাবটি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে অনেক তৃণমূল সাংগঠনিক নেতাদের মধ্যে। জানা গেছে, বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই এক হেভিওয়েট নেতার ফোনে ফোন আসে।
[ আরও পড়ুন ঃ khabor24ghonta
তাই প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তৃণমূল নেতাদের হয়রানি করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।
0 Comments