ঘি তৈরি হয় গরু বা মহিষের দুধ থেকে। ঘি বা মাখন বিভিন্নভাবে তৈরি করা যায়। ঘি স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার হিসেবে পরিচিত। ঘিতে এমন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখে। ঘি একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসাবে বিবেচিত হয়।
ঘিতে থাকা চর্বি লিভারকে সুস্থ রাখে। ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
আয়ুর্বেদে ঘি এর ভূমিকা:
প্রক্রিয়াজাত ঘি সংগ্রহ করার কিছু উপায় রয়েছে। প্রথমত, গোয়ালঘরে গরু বেঁধে রাখা যাবে না। তাদের ঘাস খেতে দেওয়া উচিত। গরুর মাংস জাতীয় খাবার রাফেজ হতে হবে। গরুর সঠিক খাদ্য থেকে ভালো দুধ পাওয়া যায়, আর তা থেকে ঘিও পাওয়া যায়।
আয়ুর্বেদিক মাতাঝি শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি আমাদের শরীরে সাতটি ধাতুকে ভালো রাখে। শুধু তাই নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ই এবং ভিটামিন ডি এর মতো চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন রয়েছে। ঘি আমাদের শারীরিক বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
[ আরও পড়ুন : khabor24ghonta
Cold - cough : সর্দি- কাশিতে ভুগছে শিশু? কী করলে বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতা। ]
এখন প্রশ্ন হলো গরু না মহিষের দুধের তৈরি ঘি শরীরের জন্য ভালো?উত্তর হলো গরুর দুধের তৈরি ঘি।
গরুর দুধের তৈরি ঘিয়ের উপকারিতা:
গরুর ঘি কোলেস্টেরলের সমস্যার চিকিৎসায় খুবই উপকারী। গরুর ঘি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক:
[ আরও পড়ুন : khabor24ghonta
গলা বুক জ্বালা, অম্বল আসলে কি? অ্যাসিড রিফ্লাক্স , হার্টবান নাকি গার্ড। ]
১. ঘি হলো প্রদাহ বিরোধী।
২. ঘি খেলে মিনারেল ও ফ্যাটি এসিড ভালোভাবে শোষিত হয়।
৩. বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশনে ব্যবহৃত হয় ঘি।
৪. মানসিক চাপ,উদ্বেগ কমিয়ে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫. চোখের জ্যাতি বাড়ায়।
৬. ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি।
৭. গর্ভকালীন ঘি খাওয়া অনেক উপকারী। তবে চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে নিতে হবে।
৮. গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা দূর করে।
৯. ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ঘি। এছাড়া মুখের ঘাসহ যেকোন সমস্যা দূরে রাখে।
[ আরও পড়ুন : khabor24ghonta
ঘি পুষ্টিকর ও নিরাময়কারী। কেউ ওজন কমাতে ঘি খান আবার কেউ ওজন বাড়াতে। হার্টের যেকোনো সমস্যায় ঘি অত্যন্ত উপকারী। তাই শরীরের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ঘি খাওয়া শুরু করুন।
[ আরও পড়ুন : khabor24ghonta
0 Comments